Type Here to Get Search Results !

ডক্সিসাইক্লিন -১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এর ব্যবহার | Doxicycline

                         View In English

উপাদান:-  
ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে আছে ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড ১০০  মিলিগ্রাম। 
 
রোগ নির্দেশঃ-

ডক্সিসাইক্লিন সংবেদনশীল অণুজীবের দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত: 
শ্বাস নালীর সংক্রমণ:  
  • শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ : নিউমোনিয়া, ইনফ্লয়েঞ্জা, ফ্যারিংসের প্রদাহ, টনসিলের প্রদাহ, ব্রঙ্কাইটিস, সাইনাসের প্রদাহ, ওটাইটিস মিডিয়া।
  • মুত্র ও জননতন্ত্রের সংক্রমণ: পাইলোনেফ্রাইটিস, সিস্টাইটিস, ইউরেথ্রাইটিস, গনোরিয়া এপিডিডাইমিটিস, সিফিলিস, চ্যানক্রয়েড এবং গ্রানুলোমা ইনগুইনালে।
  • ব্যাসিলারী সংক্রমণ: কলেরা, ট্র্যাভেলার্স ডায়রিয়া,টিলারাইমিয়া।
  • ক্ল্যামিডিয়া: লিম্ফোগ্রানুলোমা, ভেনেরিয়াম, পিরিটাকোসিস, ট্র্যাচোমা। 
  • অন্ত্রের রোগ: হুইপলস ডিজিজ, ক্রান্তীয় স্প্রু, ব্লাইন্ড লুপ সিন্ড্রোম, অ্যামিবিক পেটে ব্যাকিলারি
  • ব্রণ: ব্রণ ওয়ালগারিস, ব্রণ কংগলবটা ইত্যাদি
  • অন্যান্য সংক্রমণ: অ্যাকটিনোমাইকোসিস, সেলুলাইটিস, ফারুংকুলোসিস, ফোড়া, বরডেটেলা পারটুসিস এবং ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস। 
গ্রহণ মাত্রা ও ব্যবহার বিধিঃ-
সাধারণ ডোজ: প্রথম দিনে ২০০ মিলিগ্রাম, তারপরে ৭-১০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম। 
গুরুতর সংক্রমণ (অবাধ্য মূত্রনালীর সংক্রমণ সহ): ১০ দিনের জন্য প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম। 
ব্রণ: প্রতিদিন 100 মিলিগ্রাম। 
জটিল জেনিটাল ক্ল্যামিডিয়া, নন-গোনোকোকাকাল ইউরেথ্রাইটিস: ৭-২১ দিন (শ্রোণীজনিত প্রদাহজনিত রোগে ১৪-২১ দিন) প্রতিদিন দুবার ১০০ মিলিগ্রাম।
 
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবেনা:-
টেট্রাসাইক্লিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে, তীব্র যকৃতের সমস্যায় দেয়া নিষেধ। ডক্সিসাইক্লিনের সাথে এরকালি, এন্টাসিড এবং লৌহ একসাথে খাওয়া যাবে না। অন্যান্য পেনিসিলিনের সহিত ডক্সিসাইক্লিনের ব্যবহার করা নিষেধ। 
 
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ-
বমি বমি ভাব,
বমি
র‌্যাশ
চুলকানি
এক্সফলিয়েটিভ ডার্মাটাইটিস হতে পারে। 
 
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান কালে ব্যবহারঃ-
গর্ভকালীন এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে, গর্ভধারনের তিন মাসের মধ্যে ওষুধটি ব্যবহার করা অনুচিত। ডক্সিসাইক্লিন নবজাতকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

সাবধানতাঃ-
(১) প্রদান/ব্যবহারের পূ্র্বে ঔষধের মেয়াদ দেখে নিতে হবে।
(২) ঔষধ দেবার আগে রোগীকে জিজ্ঞাসা করূন এর আগে এ ধরণের ঔষধ খেয়েছেন কিনা। যদি খেয়ে থাকেন তাহলে কোন ধরণের এলার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা।
(৩) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ। কোন ভাবে এটি খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবে খেতে হবে।
 
মন্তব্যঃ-
(১) পার্শ্ব্প্রতিক্রিয়া গুলো সাময়িক, ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে রেফার করে দিতে হবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.